জকিগঞ্জ টুডে ডেস্ক:: স্বামী কুয়েত প্রবাসী। ঘরে বৃদ্ধ শাশুড়ী সিদ্দিকা বেগম ছাড়া আর কেউ নেই। এরই সুযোগে স্ত্রী র্দীঘদিন থেকে গ্রামের একাধিক যুবকের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত। কিন্তু শাশুড়ী সিদ্দিকা বেগম পুত্রবধুর অনৈতিক কর্মকান্ড মানতে পারছেন না। বার বার বাধা নিষেধ করলেও অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো শাশুড়ীর দিকে ক্ষেপে যান পুত্রবধু।
মঙ্গলবার সকালে ঘরে আসেন পাশের বাড়ীর সাহেদ। এরপর তিনি আনোয়ারা বেগমের রুমে গিয়ে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। দেখে ফেলেন বৃদ্ধ শাশুড়ী। এই অপরাধে পুত্রবধু আনোয়ারা ও পাশের বাড়ীর সাহেদ মিলে বৃদ্ধ সিদ্দিকা বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে মরিচ বাটার পাথরের পুতাইল দিয়ে সিদ্দিকা বেগমের শরীর থেতলে দিয়ে হত্যার চেষ্ঠা চালান পুত্রবধু ও পাশের বাড়ীর সাহেদ। পরে বৃদ্ধ মহিলার কান্নার শোর চিৎকার শুনে আশপাশ বাড়ীর লোকজন এসে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ সিদ্দিকা বেগমকে উদ্ধার করে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
এমন অভিযোগ এনে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বৃদ্ধ সিদ্দিকা বেগম (৭০)। এজাহারে তিনি পুত্রবধুকে ও মানিকপুর গ্রামের মৃত আখল আলীর ছেলে সাহেদ আহমদ (৩৫) কে আসামী করেছেন।
এ ব্যাপারে সাহেদ আহমদ জানান, আমার সাথে ঐ মহিলার কোন সম্পর্ক নেই। আমাকে ফাঁসাতে চক্রান্ত করা হচ্ছে। পূর্ব বিরোধের জেরে আমাকে হয়রানী করার চেষ্ঠা করছেন কতিপয় লোকজন। সরেজমিন তদন্ত করলে ঘটনার সত্যতা কতটুকু তা বের হবে।
গৃহবধু জানান, আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে অপবাদ দেয়া হচ্ছে। আমি কোন অসামাজিক কাজে জড়িত নয়। যারা বৃদ্ধ মহিলাকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ করছে তারা কিছুদিন আগে আমাকে বিনা কারণে মারধর করেছে। এই মারধরের ঘটনায়ও আমি সঠিক বিচার পাইনি। সেই ঘটনাকে আড়াল করতে এবং আমার সংসার ভাঙতে এখন মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।
ইউপি সদস্য শাসছ উদ্দিন কাজল জানান, পারিবারিক কলহের কারণে এ ঘটনা রটানো হতে পারে। পুলিশী তদন্তে আসল ঘটনা প্রকাশ হবে।
জকিগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর ঘটনার সত্যতা জানা যাবে।
Leave a Reply